Our experience

✅ “5+ Years of Experience in Digital Marketing & Content Creation”

Why choose us?

✅ “Over 1 Million YouTube Views”

Your guide to success

✅ “Trusted by 3,000+ Subscribers”

Why choose us?

✅ “Worked with 500+ Happy Clients”

জ্ঞান অর্জনের সহজ পথ এখন আপনার হাতের মুঠোয়

ডেইলি লার্ন থেকে প্রতিদিন কিছু নতুন শিখুন

সৌরজগত: সূর্য ও গ্রহগুলোর অজানা তথ্য ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা

হ্যালো বন্ধুরা, স্বাগতম ডেইলি লার্নের এই নতুন ভিডিওতে! আজকের ভিডিওতে আমরা আলোচনা করবো সৌরজগৎ এর বিচিত্র সব তথ্য নিয়ে ,যার সৌন্দর্য দেখলে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে! আপনি যদি জ্ঞানপিপাসু হন—তাহলে এই ভিডিওটা শুধু আপনার জন্য!তো চলুন, দেরি না করে শুরু করি আজকের রোমাঞ্চকর ভ্রমণ!”

সৌরজগৎ:
সৌরজগৎ হল সূর্যকে কেন্দ্র করে ঘূর্ণায়মান গ্রহ, উপগ্রহ, গ্রহাণু, ধূমকেতু ও অন্যান্য মহাজাগতিক বস্তুর সমষ্টি।সৌরজগৎ  ৪৬০ কোটি বছর আগে বিশাল গ্যাস ও ধূলিকণার মেঘ থেকে সৃষ্টি হয়েছিল। মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে এই মেঘ সংকুচিত হয়ে কেন্দ্রে সূর্যের জন্ম দেয় এবং বাকি পদার্থ থেকে গ্রহ ও অন্যান্য বস্তু গঠিত হয়।এটি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির একটি ক্ষুদ্র অংশ। সৌরজগতের নিকটতম নক্ষত্র প্রক্সিমা সেন্টাউরি, যা  ৪.২৪ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।

solar-system-in-bangla.jpg
solar-system-in-bangla.jpg

 সূর্য :  সৌরজগতের কেন্দ্রে রয়েছে সূর্য। এটি সৌরজগতের ৯৯.৮৬% ভর ধারণ করে এবং  হাইড্রোজেন ৭৪% ও হিলিয়াম ২৪% দিয়ে এটি গঠিত। এর তাপমাত্রা  ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রি সেলসিয়াস। সূর্যের কেন্দ্রে পারমাণবিক সংযোজন প্রক্রিয়ায় শক্তি উৎপন্ন হয়, যা গ্রহগুলোকে তাপ ও আলো প্রদান করে। সূর্য থেকে পৃথিবীতে আলো পৌঁছাতে ৮ মিনিট ২০ সেকেন্ড সময় নেয়।  সূর্যের ব্যাস  ১৩ লক্ষ ৮৪ হাজার কিলোমিটার এবং এটি পৃথিবী থেকে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। সূর্য  ২৫ দিনে একবার তার অক্ষের ওপর ঘুরে যায় এবং এই ঘূর্ণন তার কক্ষপথে থাকা গ্রহগুলোর মহাকর্ষীয় প্রভাবকে নিয়ন্ত্রণ করে।

গ্রহ:

সৌরজগতে ৮টি গ্রহ রয়েছে। বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল  বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন।

বুধ: বুধ সৌরজগতের সবচেয়ে ছোট এবং সূর্যের সবচেয়ে কাছের গ্রহ। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ৫ কোটি ৮০ লক্ষ কিলোমিটার

এর ব্যাস  ৪৮৫০কিলোমিটার। বুধ সূর্যের চারদিকে একটি পূর্ণ ঘূর্ণন সম্পন্ন করে ৮৮ দিনে, যা সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুততম। কিন্তু নিজের অক্ষে একবার ঘোরতে সময় নেয় পৃথিবীর ৫৯ পৃথিবী দিন।

দিনের বেলা এর তাপমাত্রা ৪৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রাতে মাইনাস ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়, কারণ এর কোনো বায়ুমণ্ডল নেই। এই গ্রহে কোন প্রাকৃতিক উপগ্রহ নেই।

বুধের পৃষ্ঠ চাঁদের মতো গর্তে ভরা, যা উল্কাপাতের ফলে সৃষ্ট। এর সবচেয়ে বড় গর্ত হলো ক্যালোরিস বেসিন, যার ব্যাস প্রায় ১,৫৫০ কিলোমিটার। এর মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর ৩৮%। অর্থাৎ, ১০০ কেজি ওজনের একজন ব্যক্তির বুধে ওজন হবে মাত্র ৩৮ কেজি। বুধের একটি বড় লোহার কোর রয়েছে, যা এর মোট আয়তনের প্রায় ৭৫%। নাসার মেরিনার ১০ এবং মেসেঞ্জার মিশন বুধ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে। বর্তমানে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা ও জাপানের যৌথ মিশন বেপিকলোম্বো এটি অধ্যয়ন করছে।

শুক্র: শুক্র সূর্য থেকে দ্বিতীয় এবং পৃথিবীর নিকটতম গ্রহ । সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ১০ কোটি ৮০ লক্ষ কিলোমিটার। এর ব্যাস  ১২ হাজার ১০৪ কিলোমিটার। শুক্র সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে পৃথিবীর ২২৫ দিন সময় নেয়। কিন্তু নিজের অক্ষে একবার ঘোরতে পৃথিবীর ২৪৩ সময় লাগে। এটি বিপরীত দিকে ঘোরে যা সৌরজগতের গ্রহগুলোর মধ্যে ব্যাতিক্রম। শুক্র সৌরজগতের সবচেয়ে উষ্ণ গ্রহ। এর পৃষ্ঠের গড় তাপমাত্রা প্রায় ৪৬২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা সীসা গলানোর জন্য যথেষ্ট। এর ঘন বায়ুমণ্ডল এর কারণে এমন তাপের সৃষ্টি হয়। শুক্রের বায়ুমণ্ডল ৯৬.৫% কার্বন ডাই অক্সাইড এর মেঘ দিয়ে গঠিত। এর বায়ুমণ্ডলীয় চাপ পৃথিবীর তুলনায় ৯২ গুণ বেশি, যা সমুদ্রের ৯০০ মিটার গভীরতার চাপের সমান। এর সবচেয়ে উঁচু পর্বত হলো ম্যাক্সওয়েল মন্টেস, যা ১১ কিলোমিটার উঁচু।

শুক্র পৃথিবী থেকে খালি চোখে দেখা যায় এবং এটি আকাশে সূর্য ও চাঁদের পরে তৃতীয় উজ্জ্বল বস্তু। এটি “সকালের তারা” বা “সন্ধ্যার তারা” নামে পরিচিত। শুক্রের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর প্রায় ৯১%। অর্থাৎ, পৃথিবীতে ১০০ কেজি ওজনের একজনের ওজন শুক্রে হবে ৯১ কেজি।

সোভিয়েত ইউনিয়নের ভেনেরা মিশন শুক্রের পৃষ্ঠে প্রথম ছবি তুলেছিল। নাসার ম্যাগেলান মিশন এর পৃষ্ঠের ৯৮% মানচিত্র তৈরি করেছে।

পৃথিবী: পৃথিবী সৌরজগতের তৃতীয় গ্রহ এবং সূর্য থেকে গড় দূরত্ব প্রায় ১৫ কোটি কিলোমিটার। পৃথিবীর ব্যাস প্রায় ১২,৭৪২ কিলোমিটার। এটি সৌরজগতের পঞ্চম বৃহত্তম গ্রহ। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ৩৬৫ দিন। নিজের অক্ষে একবার ঘোরতে সময় লাগে প্রায় ২৩ ঘণ্টা ৫৬ মিনিট। এর অক্ষ ২৩.৫ ডিগ্রি হেলে থাকায় ঋতু পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস । তবে, এটি স্থানভেদে পরিবর্তিত হয়, যেমন অ্যান্টার্কটিকায় মাইনাস ৮৯.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং মরুভূমিতে ৫৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠে যায়।

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল ৭৮% নাইট্রোজেন, ২১% অক্সিজেন, ০.৯% আর্গন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডসহ অন্যান্য গ্যাস দিয়ে গঠিত। এটি জীবন ধারণ, সৌর বিকিরণ থেকে সুরক্ষা এবং তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। পৃথিবীতে ৭১% জল এবং ২৯% স্থলভাগ আছে। এর সর্বোচ্চ বিন্দু মাউন্ট এভারেস্ট যার উচ্চতা ৮,৮৪৮ মিটার এবং সর্বনিম্ন বিন্দু মারিয়ানা ট্রেঞ্চ যার গভরিতা ১০,৯৮৪ মিটার। পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ।

পৃথিবীর গলিত লোহা ও নিকেলের কোর একটি শক্তিশালী চৌম্বক ক্ষেত্র তৈরি করে, যা সৌর বায়ু এবং ক্ষতিকর মহাজাগতিক রশ্মি থেকে রক্ষা করে। পৃথিবীকে মহাকাশ থেকে অধ্যয়ন করা হয়েছে বিভিন্ন উপগ্রহের মাধ্যমে, যেমন ল্যান্ডস্যাট, NOAA এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ ষ্টেশন।
মঙ্গল: মঙ্গল সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ এবং সূর্য থেকে গড় দূরত্ব প্রায় ২২.৮ কোটি কিলোমিটার। মঙ্গলের ব্যাস প্রায় ৬,৭৯২ কিলোমিটার। মঙ্গল সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ৬৮৭ দিন। নিজের অক্ষে একবার ঘোরতে সময় লাগে প্রায় ২৪.৬ ঘণ্টা। মঙ্গলের গড় তাপমাত্রা -৬৩°C । তবে, এটি দিনে ২০°C পর্যন্ত উঠতে পারে এবং রাতে -১৪০°C পর্যন্ত নামতে পারে। মঙ্গলের বায়ুমণ্ডল পাতলা এবং প্রায় ৯৫.৩% কার্বন ডাই অক্সাইড, ২.৭% নাইট্রোজেন এবং ১.৬% আর্গন দিয়ে গঠিত। এর চাপ পৃথিবীর তুলনায় মাত্র ১%।

মঙ্গলের পৃষ্ঠ লালচে, কারণ এতে প্রচুর আয়রন অক্সাইড রয়েছে। এখানে সৌরজগতের বৃহত্তম আগ্নেয়গিরি অলিম্পাস মনস আছে যার উচ্চতা  ২২ কিলোমিটার। এখানে রয়েছে গভীরতম গিরিখাত, ভ্যালেস মারিনেরিস যার গভীরতা ৭ কিলোমিটার এবং লম্বা ৪,০০০ কিলোমিটার ।মঙ্গলের মেরু অঞ্চলে বরফের আকারে পানি রয়েছে। অতীতে তরল পানির প্রমাণও পাওয়া গেছে, যেমন শুকিয়ে যাওয়া নদী ও হ্রদের চিহ্ন।মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় ৩৮%। অর্থাৎ, পৃথিবীতে ১০০ কেজি ওজনের একজনের মঙ্গলে ওজন হবে ৩৮ কেজি। মঙ্গলের দুটি ছোট উপগ্রহ রয়েছে—ফোবোস এবং ডেইমোস।

মঙ্গলে বহু মহাকাশ মিশন প্রেরণ করা হয়েছে। যেমন কিউরিওসিটি, পারসিভিয়ারেন্স, মার্স পাথফাইন্ডার এবং ভারতের মঙ্গলযান। এসব মহাকাশযান এটি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করেছে।
মঙ্গল সৌরজগতের চতুর্থ গ্রহ এবং এটি পৃথিবী থেকে ২১ কোটি ৭৫ লক্ষ কিলোমিটার দূরে। এর ব্যাস  ৬ হাজার ৭৮০ কিলোমিটার এবং আয়তন ১৪ কোটি ৪৭ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার। মঙ্গল গ্রহে ঠাণ্ডা আবহাওয়া এবং পাতলা বায়ুমণ্ডল রয়েছে, যা নাইট্রোজেন ও আরগন গ্যাসে গঠিত। এর দুটি উপগ্রহ, ডিমোস এবং ফোবোস ।

বৃহস্পতি: বৃহস্পতি সৌরজগতের পঞ্চম গ্রহ এবং সূর্য থেকে গড় দূরত্ব প্রায় ৭৭.৮ কোটি কিলোমিটার। বৃহস্পতি সৌরজগতের সবচেয়ে বড় গ্রহ, যার ব্যাস প্রায় ১,৩৯,৮২০ কিলোমিটার। এটি এত বড় যে, এর ভিতরে পৃথিবীর মতো ১,৩০০টি গ্রহের জায়গা হবে। পৃথিবীর তুলনায় এটি ৩০০ গুণ ভারী। বৃহস্পতি সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ১২ বছর। কিন্তু নিজের অক্ষে ঘুরতে ৯.৯ ঘণ্টা লাগে, যা সৌরজগতের দ্রুততম ঘূর্ণন।

বৃহস্পতি একটি গ্যাসীয় দানব, যেটি হাইড্রোজেন ৯০% এবং হিলিয়াম ১০% দিয়ে গঠিত, যা সূর্যের গঠনের সাথে মিলে যায়। এর কেন্দ্রে ধাতব কোর রয়েছে। বৃহস্পতির মেঘের উপরিভাগের তাপমাত্রা -১৪৫°C তবে এর কেন্দ্রে তাপমাত্রা ২৪,০০০°C । এর “গ্রেট রেড স্পট” নামক একটি বিশাল ঝড় আছে যা কয়েক শতাব্দী ধরে চলছে এবং এটি পৃথিবীর চেয়ে বড়। বৃহস্পতির চৌম্বক ক্ষেত্র পৃথিবীর তুলনায় ২০,০০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

বৃহস্পতির ৯৫টির বেশি উপগ্রহ রয়েছে। এর মধ্যে চারটি বড় চাঁদ—আইও, ইউরোপা, গ্যানিমিড এবং ক্যালিস্টো। গ্যানিমিড সৌরজগতের বৃহত্তম উপগ্রহ। বৃহস্পতির মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় ২.৫ গুণ বেশি। পৃথিবীতে ১০০ কেজি ওজনের একজনের ওজন এখানে হবে ২৫০ কেজি। বৃহস্পতি নাসার পাইওনিয়ার, ভয়েজার, গ্যালিলিও এবং জুনো মিশন দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছে। জুনো ২০১৬ সালে কক্ষপথে প্রবেশ করে এর বায়ুমণ্ডল ও গঠন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিচ্ছে।

শনি: শনি সৌরজগতের ষষ্ঠ গ্রহ এবং সূর্য থেকে গড় দূরত্ব প্রায় ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ, যার ব্যাস প্রায় ১,২০,৫৩৬ কিলোমিটার। শনি সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ২৯.৪৬ বছর। নিজের অক্ষে ঘুরতে ১০.৭ ঘণ্টা সময় লাগে। শনি একটি গ্যাসীয় দানব, শনি গ্রহে হাইড্রোজেন ৯৬% এবং হিলিয়াম ৩% আছে। এর কেন্দ্রে ধাতব কোর রয়েছে। শনির মেঘের উপরিভাগের গড় তাপমাত্রা প্রায় -১৩৯°C।

শনি তার অসাধারণ বলয় ব্যবস্থার জন্য বিখ্যাত। এই বলয়গুলো বরফ, ধূলিকণা এবং শিলার টুকরো দিয়ে গঠিত। এগুলো কয়েক কিলোমিটার থেকে শুরু করে হাজার হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত। শনির বায়ুমণ্ডলে বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১,৮০০ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে।শনির ৮৩টির বেশি উপগ্রহ রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো টাইটান। শনি নাসার পাইওনিয়ার ১১, ভয়েজার এবং ক্যাসিনি মিশন দ্বারা অধ্যয়ন করা হয়েছে। ক্যাসিনি এর বলয়, উপগ্রহ এবং বায়ুমণ্ডল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে।

ইউরেনাস: ইউরেনাস সৌরজগতের সপ্তম গ্রহ এবং সূর্য থেকে গড় দূরত্ব ২৮৭ কোটি কিলোমিটার। ইউরেনাসের ব্যাস প্রায় ৫০,৭২৪ কিলোমিটার। ইউরেনাস সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ৮৪ বছর। নিজের অক্ষে ঘোরতে সময় লাগে প্রায় ১৭.২ ঘণ্টা। ইউরেনাস একটি “বরফের দানব”। এটি হাইড্রোজেন ৮৩%, হিলিয়াম ১৫% এবং মিথেন ২%)দিয়ে গঠিত, সাথে পানি, অ্যামোনিয়া ও মিথেনের বরফ রয়েছে। এর কেন্দ্রে একটি শিলাময় কোর আছে। ইউরেনাসের মেঘের উপরিভাগে তাপমাত্রা প্রায় -১৯৭°C। ইউরেনাসের ২৭টি পরিচিত উপগ্রহ রয়েছে। ইউরেনাসকে শুধুমাত্র নাসার ভয়েজার ২ মিশন অধ্যয়ন করেছে।

নেপচুন: নেপচুন সৌরজগতের অষ্টম এবং সবচেয়ে দূরবর্তী গ্রহ। সূর্য থেকে এর গড় দূরত্ব প্রায় ৪৫০ কোটি কিলোমিটার। নেপচুনের ব্যাস প্রায় ৪৯,২৪৪ কিলোমিটার। নেপচুন সূর্যের চারদিকে একবার ঘুরতে সময় নেয় ১৬৪ বছর। নিজের অক্ষে ঘুরতে সময় লাগে প্রায় ১৬.১ ঘণ্টা।

নেপচুন একটি “বরফের দানব”। এটি হাইড্রোজেন (৮০%), হিলিয়াম (১৯%) এবং মিথেন (১.৫%) দিয়ে গঠিত, সাথে পানি, অ্যামোনিয়া ও মিথেনের বরফ রয়েছে। এর কেন্দ্রে একটি শিলাময় কোর থাকতে পারে।

নেপচুনের মেঘের উপরিভাগে তাপমাত্রা প্রায় -২০১°C। এখানে সৌরজগতের সবচেয়ে দ্রুত বাতাস বয়, যার গতি ২,১০০ কিমি/ঘণ্টা পর্যন্ত হতে পারে।

নেপচুনের ১৪টি পরিচিত উপগ্রহ রয়েছে। সবচেয়ে বড় উপগ্রহ ট্রাইটন। নেপচুনের মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর তুলনায় ১১৪%। পৃথিবীতে ১০০ কেজি ওজনের একজনের ওজন এখানে হবে ১১৪ কেজি। নেপচুনকে কাছ থেকে শুধুমাত্র নাসার ভয়েজার ২ মিশন অধ্যয়ন করেছে।

বামন গ্রহ: প্লুটো, সেরেস, এরিস, মাকেমাকে ও হাউমিয়া বামন গ্রহ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ। এরা কাইপার বেল্ট ও গ্রহাণু বেল্টে অবস্থিত।

গ্রহাণু বেল্ট: গ্রহাণু বেল্ট বা Asteroid Belt মঙ্গল ও বৃহস্পতির মাঝে অবস্থিত, এগুলো প্রধানত পাথর ও ধাতুর টুকরো দ্বারা গঠিত।  সেরেস এখানের সবচেয়ে বড় বস্তু।

ধূমকেতু: ধূমকেতু সূর্যের নিকটবর্তী দিয়ে চলার সময় উজ্জ্বল লেজ তৈরি করে। এটি মূলত বরফ, ধূলা ও গ্যাসের সমন্বয়ে গঠিত। ধূমকেতুর লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশত কোটি কিলোমিটার হতে পারে এবং এটি সূর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবে তৈরি হয়। বেশিরভাগ ধূমকেতু কাইপার বেল্ট ও ওর্ট ক্লাউড থেকে আসে। হ্যালির ধূমকেতু প্রতি ৭৬ বছর পর দেখা যায়।

উল্কা: মহাকাশে থাকা ছোট পাথর বা ধাতুর টুকরো, যা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করলে জ্বলে ওঠে এবং আলোর রেখা তৈরি করে।

কাইপার বেল্ট:সূর্য থেকে পঞ্চাশ জ্যোতির্বিদ্যা একক দূরত্বে কুইপার বলয় অবস্থিত, যা মূলত পানি, মিথেন ও অ্যামনিয়ার বরফ খণ্ডের সমন্বয়ে গঠিত। এখানে তিনটি প্রধান বামন গ্রহ – প্লুটো, হাউমিয়া, মাকেমাকে এবং এরিস রয়েছে। কুইপার বলয় ধূমকেতু উৎপাদনের একটি প্রধান উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।

ওর্ট ক্লাউড: ওর্ট ক্লাউড সৌরজগতের সবচেয়ে বাইরের অংশে অবস্থিত, যা সূর্য থেকে প্রায় ২,০০০ থেকে ১,০০,০০০ জ্যোতির্বিদ্যা ইউনিট দূরত্বে বিস্তৃত। এটি একটি গোলাকার, শেলের মতো কাঠামো, যা বিলিয়ন বিলিয়ন বরফের ধূমকেতু দিয়ে গঠিত। এগুলো মূলত পানি, মিথেন, অ্যামোনিয়া এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের বরফ দিয়ে তৈরি।

উপসংহার

সৌরজগৎ এর এত অসাধারণ তথ্য ও জায়গা দেখে সত্যিই মনটা ভরে যায়, তাই না? এইসব তথ্যের মধ্যে কোনটা আপনার সবচেয়ে প্রিয়? কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না!

ভিডিওটি যদি ভালো লেগে থাকে, তাহলে একটা লাইক দিন, বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন। আর এরকম আরও চমৎকার ভিডিও পেতে অবশ্যই চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে পাশে থাকা বেল আইকনটি বাজাতে ভুলবেন না।ধন্যবাদ, দেখা হবে পরের পর্বে!”

সৌরজগৎ সম্পর্কে জানতে এই ভিডিওটা দেখুন

 

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

en_USEnglish
Scroll to Top